প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করে বর্তমান সরকার সমতাভিত্তিক ও মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে শতভাগ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২০২৪ সালে বিনামূল্যের বই বিতরণ করা হয়েছে।
ঝরেপড়া রোধসহ প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনের লক্ষ্যে শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় ১০০% শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে।
তাছাড়া 204টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য স্থানীয় উদ্যোগে মিড-ডে মিল চালু করা হয়েছে। আপাতত করোনা পরবর্তী সময়ের জন্য সাময়িক স্থগিত রয়েছে।
প্রতিবছর 204টি বিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্ণামেন্ট পরিচালিত হয়ে আসছে।
অবকাঠামো খাতে:
বিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে 30টি নলকূপ স্থাপনসহ ১৫ টি ওয়াশব্লক নির্মাণ, ১০টি নতুন ভবন নির্মাণ, ০৯ টি সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে।
আইসিটি খাতে:
প্রতিটি বিদ্যালয়ে মডেম ক্রয় বাবদ বরাদ্দ প্রদান করা হচ্ছে ও সরকারি কর্তৃক ওয়াইফাই রাউটার প্রদান করা হয়েছে।
প্রয়োজনের ভিত্তিতে ১২০+ বিদ্যালয়ে সরকার কর্তৃক উচ্চ কনফিগারেশন সমৃদ্ধ ওয়ালটন ল্যাপটপ প্রদান করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে অধিকাংশ বিদ্যালয়কে সিসি ক্যামেরার আওতাধীন আনা হয়েছে।
জনবল খাতে:
বিদ্যালয়ের শূন্যপদ পূরণের লক্ষে উপজেলায় ২০২৩ সালে নতুন ৮৯ জন শিক্ষকের নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
অনলাইন বদলীর মাধ্যমে সহজেই কাঙ্খিত বিদ্যালয়ে বদলীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শিক্ষক: শিক্ষার্থী এবং শিক্ষার্থী:শ্রেণিকক্ষের অনুপাত অনুসারে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষকদের বদলী বা সংযুক্তি করা হচ্ছে।
প্রশিক্ষণ খাতে:
বিদ্যালয় ভিত্তিক প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ চলমান রয়েছে।
২০২৩ সালে নতুন নিয়োগ প্রাপ্ত প্রাক-প্রাথমিক এর সকল শিক্ষককে (মোট ৫৪ জন) প্রাক- প্রাথমিক প্রশিক্ষন প্রদান করা হয়েছে।
২০২৩ সালে ২০৪টি বিদ্যালয়ের মধ্য থেকে প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রায় প্রত্যেককে কারিকুলাম বিস্তরণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
২০২৩ সালে কুমিল্লা পিটিআই তে মোট ২০ জনকে আইসিটি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
২০২২ সালে ২০৪টি বিদ্যালয়ের মধ্য থেকে প্রতিটি বিদ্যালয়ের ০১ জনকে গণিত অলিম্পিয়াড প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
২০২২ সালে ২০৪টি বিদ্যালয়ের মধ্য থেকে প্রতিটি বিদ্যালয়ের ০১ জনকে ইংরেজি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
২০২২ সালে ২০৪টি বিদ্যালয়ের মধ্য থেকে প্রতিটি বিদ্যালয়ের ০২ জনকে বাংলা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করার নিমিত্তে প্রশিক্ষণ চলমান রয়েছে।
আর্থিক খাতে:
বিদ্যালয় ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা বিকেন্দ্রীকরণের ২০৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘স্কুল লেভেল ইমপ্রুভমেন্ট প্ল্যান (SLIP) বাস্তবায়নের জন্য বিদ্যালয় প্রতি ছাত্র অনুপাতে বাৎসরিক ১ লক্ষ টাকা থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হচ্ছে।
প্রতিটি বিদ্যালয়ের ওয়াশ ব্লক মেরামতের উদ্দেশ্যে প্রতি ওয়াশ ব্লকের জন্য ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হচ্ছে।
মাইনর মেরামতের জন্য ২০২৪ সালে ২১ টি বিদ্যালয়কে ২ লক্ষ টাকা প্রদান করা হচ্ছে।
শুদ্ধাচার খাতে:
দুর্নীতি রোধে অফিসকে দালাল মুক্ত করা হয়েছে।
সঠিক তথ্য প্রাপ্তিতে গুগল ফর্মের মাধ্যমে মাঠ পর্যায় থেকে সঠিক তথ্য সংগৃহীত হচ্ছে।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে।
বিদ্যালয় পর্যায়ে অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতে সকল অফিসারগন নিত্য তদারকি চলমান রয়েছে।